ক্ষমতাচ্যূত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘বিদ্বেষমূলক’ বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও যোকোনো ওয়েবসাইট থেকে সরানোর বিষয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আদেশ প্রকাশ পেয়েছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) পাঠানো হয়েছে সেই রায়ের কপি।
ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম সোমবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি আরও জানান, রোববার শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি লন্ডনে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা খতিয়ে দেখতে সরকারের প্রতি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
গত ৫ ডিসেম্বর প্রসিকিউশন টিমের এক আবেদনের শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজার নেতৃত্বাধীন ৩ সদস্যের বেঞ্চ গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা দেন।
একইসঙ্গে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম শেখ হাসিনার প্রচার হওয়া আগের বিদ্বেষমূলক বক্তব্য সরাতে বিটিআরসিকে নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।
এদিকে, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান এবং সেখানে অবস্থান করছেন। ভারতে থেকে তিনি নানা ধরনের মন্তব্য করে যাচ্ছেন এবং এসব বক্তব্য নেতাকর্মীদের মাধ্যমে আবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে। সম্প্রতি, তিনি ভারতে বসে যুক্তরাজ্য ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আয়োজিত এক ভার্চুয়াল আলোচনাসভায় অংশ নিয়ে বক্তব্য দেন, যা আবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। প্রসিকিউশন পক্ষের দাবি, শেখ হাসিনা যে বক্তব্যগুলো দিচ্ছেন, তা ঘৃণা ও বিদ্বেষ ছড়িয়ে দিচ্ছে, এবং সেগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এই আবেদন করা হয়েছে।
এছাড়া, জুলাই-আগস্টে গণহত্যার ঘটনার পর শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়। এই মামলার তদন্ত শেষ করতে গত ১৮ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এক মাসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে। আগামী ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে ওই প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।
এর আগে, শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করতে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড নোটিশ জারির আবেদন করা হয়েছিল, যা এখনও প্রক্রিয়াধীন।